ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অবৈধ টাকার বিষয়ে কিছুই জানতাম না, সম্রাটের স্ত্রী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৯
অবৈধ টাকার বিষয়ে কিছুই জানতাম না, সম্রাটের স্ত্রী 

ঢাকা: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সম্রাটের অবৈধ সম্পদ কিংবা ব্যবসা বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। সম্পদের দিক থেকে তার পারিবারিক অবস্থা আগে যেমন ছিল এখনও তাই রয়ে গেছে। 

রোববার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে সম্রাটের বাসায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অভিযান চলাকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।  

শনিবার (০৫ অক্টোবর) দিনগত রাতে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আটক করে র‌্যাব।

এরপর তাকে নিয়েই রাজধানীর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলে সম্রাটের শান্তিনগর ও মহাখালীর বাসাতেও।  

বিকেলে অভিযানের সময় সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরী ছাড়া অন্য কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি।  

সাংবাদিকদের শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ১৯ বছরের সংসার। আমার স্বামী কখনও চাননি- অবৈধ টাকা দিয়ে সংসার চলুক। কখনও অবৈধ টাকা তিনি সংসারে দেননি। দুই বছর ধরে আমরা আলাদা থাকছি। তবে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। এই বাসাতে আমি আমার মেয়েকে নিয়ে থাকতাম। ’

তিনি বলেন, ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর আমি এগুলো শুনেছি। এর আগে কিছুই জানতাম না। পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশন দেখে আমি জানতে পেরেছি।  

‘এরপর থেকে আমিও নজরদারিতে ছিলাম। সে ক্যাসিনো কিংবা অন্য কিছুতে জড়িত ছিলেন কিনা তাও আমরা জানতাম না। ’ 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সম্রাটের স্ত্রী বলেন, দলে তার বড় ভাই আছে। তবে সেটা কারা এটা জানি না। কিন্তু সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে। সবার সাথে ওর একটা ভালো বন্ডেজ আছে। সম্রাট অনেক জনপ্রিয় নেতা।  

‘জি কে শামীমকে আমি চিনি না, খালেদকে চিনি। আমি মাঝে মাঝে অফিসে (কাকরাইলে) যেতাম। আমি দেখতাম, অতটুকুই। ’

এদিকে অভিযানের পর র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্রাটের মহাখালী বাসায় কিছু পাওয়া যায়নি।  

এর আগে শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে সম্রাটকে আটক করা হয়। তার সঙ্গে আটক হন যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সহ-সভাপতি এনামুল হক ওরফে আরমান। পরে তাদের দু’জনকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।   

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আলোচনায় ছিলেন যুবলীগ নেতা সম্রাট।  

অভিযোগ রযেছে, সম্রাটের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা আরমানও দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনোর কারবারে জড়িত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
এজেডএস/এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।