ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পুরনো সিদ্ধান্তে ফেনী নদী থেকে ত্রিপুরাকে সামান্য পানি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৯
পুরনো সিদ্ধান্তে ফেনী নদী থেকে ত্রিপুরাকে সামান্য পানি ফাইল ছবি

ঢাকা: মানবিকতা ও প্রতিবেশিসুলভ সম্পর্ক বিবেচনায় নিয়ে পুরনো সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের ত্রিপুরায় পান করার জন্য ফেনী নদী থেকে সামান্য পানি সরবরাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি সরবরাহে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে সমলোচনার মধ্যে এ বিবৃতি এলো।

রোববার (৬ অক্টোবর) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার ভারতের নয়াদিল্লিতে ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দু’দেশের মধ্যে চারটি এমওইউ সই হয়।  এর মধ্যে ফেনী নদী থেকে ত্রিপুরায় সাবরুম শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পে পানি সরবরাহের বিষয়টি সই হয়।  এ পানি (১ দশমিক ৮২ কিউসেক) শুধুমাত্রই পান করার জন্য।  বিধায় মানবিকতা ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বিবেচনা করে তাতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পানির পরিমাণ হলো ১ দশমিক ৮২ কিউসেক, এ পরিমাণে খুব সামান্য।  যেখানে ১ কিউসেক সমান ২৮ দশমিক ৩২ লিটার।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকায় ‘ডিসকাশন অব ওয়াটার রিসোর্স’ শিরোনামে বাংলাদেশ ও ভারত দু’দেশের সেক্রেটারি লেভেল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।  এ মিটিংয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তপত্রের ৯ নং আর্টিকেলে বলা হয় টেকনিক্যাল লেভেল মিটিংয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি পানের জন্য দেওয়া যেতে পারে মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একই বছর দিল্লিতে মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকেও ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি দেওয়া যেতে পারে বলে সম্মতি আসে।

পরে ২০১২ সালে সম্পাদিত টেকনিক্যাল লেভেলের মিটিংয়ে বিভিন্ন দিক বিস্তারিত পর্যালোচনার পর কিছু শর্ত সাপেক্ষে পানি দেওয়া যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।  পাম্পের সক্ষমতা ও অবস্থান, সরবরাহের জন্য একক পাইপ, নদী তীর ভাঙন সংক্রান্ত বিষয়সহ একাধিক শর্তাবলীর অধীনে এটি অনুমোদিত হয়।  শুকনা মৌসুমে ফেনী নদীর পানির গড় পরিমাণ ৭৯৪ কিউসেক এবং বার্ষিক পানির গড় পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৮৭৮ কিউসেক।  তাহলে দেখা যায় যে, ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক করে পানি প্রত্যাহার শুষ্ক মৌসুমের গড় পানি প্রবাহের ০ দশমিক ২৩ শতাংশ।

আগামী যৌথ কমিশনের বৈঠক মন্ত্রী পর্যায়ে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।