জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম রোববার (৬ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে তার কার্যালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রথমে চারটি দেশে অবস্থিত নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
পড়ুন>> প্রবাসীরা অনলাইনেই ভোটার হবেন, এনআইডি পাবেন বিদেশে বসেই
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রবাসেব ভোটার করে সেখানেই জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতির প্রয়োজন হয়। আমরা বিভিন্ন দেশে সার্ভের করার পর সিঙ্গাপুরকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু দেশটির সরকার এখনও অনুমতি দেয়নি। তাই অনলাইনেই কার্যক্রম শুরু করবো।
‘এই চার দেশের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় অবস্থানরত প্রবাসীরা এই সুযোগ পাবেন। এজন্য প্রচারণাও চালানো হবে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করবো। ’
এনআইডি অনুবিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুই প্রক্রিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করে নেওয়া হবে। প্রথম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একটি আলাদা সার্ভার বসাবে নির্বাচন কমিশন। যে সার্ভারটি ইসির ওয়েবসাইটে আলাদা লিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে। প্রবাসী নাগরিক সংশ্লিষ্ট দেশে বসেই সেই লিংকে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় সব কাগজ/দলিলাদি আপলোড করে এবং ফরম পূরণ করে আবেদন সম্পন্ন করবেন।
সেই আবেদনটি পরবর্তীতে আবেদনকারীর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে। তদন্তে ইতিবাচক প্রতিবেদন আসলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হবে। এরপর দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশেই বসানো হবে ইসির নিবন্ধন কেন্দ্র। যেখান থেকে বিতরণ করা হবে স্মার্টকার্ড বা এনআইডি। আবেদনকারী স্মার্টাকার্ড নেওয়ার সময় আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি দেবেন।
দ্বিতীয় প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের ভোটার করে নেওয়া বলতে অফলাইনে আবেদনের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অনলাইনের আবেদন সংগ্রহের পর কোনো দেশে যখন নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করে নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রাখবে নির্বাচন কমিশন।
তখন সংশ্লিষ্ট নাগরিককে ওই কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজ/দলিলাদি সরবরাহ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় যাওয়ার জন্যই নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতির পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয় এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার।
বর্তমানে ৫০টির মধ্যে সংস্থা-প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে এই তথ্য-ভাণ্ডার ব্যবহার করছে। এতে অপরাধী চিহ্নিতকরণসহ বহুমুখী সমস্যা সমাধান সহজ হয়ে গেছে। এছাড়াও সহজেই মিলছে নাগরিক সেবা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
ইইউডি/এমএ