দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলছে মাত্র ৫টি ফেরি। এছাড়া নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ রুটে গত শুক্রবার থেকে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল।
যশোর থেকে ঢাকাগামী ট্রাকচালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ৩ দিন ধরে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় সিরিয়ালে আটকে আছি। কখন ফেরিতে উঠতে পারবো জানি না।
ঝিনাইদহ থেকে ঢাকাগামী ঝিনাইদহ এক্সপ্রেস পরিবহনের যাত্রী রুমা বেগম বলেন, সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এলেও দুপুর হয়ে গেছে বাস ফেরিতে উঠতে পারেনি।
ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী গ্রিন লাইন পরিবহনের চালক খোরশেদ আলম বলেন, ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফেরিঘাটের থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে সিরিয়ালে আটকে আছি। গরম ও বৃষ্টিতে যাত্রীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, পদ্মার তীব্র স্রোতে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত শুক্রবার দুপুর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এতে সাধারণ যাত্রীদের নদী পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক বাণিজ্য আবু আবদুল্লাহ জানান, দৌলতদিয়ায় ৬টি ফেরিঘাটের মধ্যো ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাটে স্রোতের তীব্রতা বেশি। সেখানে ঘূর্ণি স্রোতের কারণে ফেরি ভেড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই ফেরিঘাট ৪টিতে অপারেশন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ১৩টি ফেরি থাকলেও চলছে মাত্র ৫টি। স্রোত কমলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অংকুর জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাটের ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
আরএ