পদ্মার তীব্র স্রোতে চলতে পারছে না বড় আকারের ফেরিগুলো। তাই ১৩টি ফেরি এ রুটে বরাদ্দ থাকলেও বর্তমানে চলছে মাত্র সাতটি।
ফেরির আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাট প্রান্তে সিরিয়ালে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পোহাতে হচ্ছে। এদিকে ঘাট এলাকায় ৩ থেকে ৪ দিন ধরে বসে আছে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া দুই ঘাটেই একই চিত্র।
দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি পারের আশায় গত তিনদিন ধরে বসে ট্রাকচালক আখের আলি। তিনি বলেন, বেনাপোল থেকে পণ্য নিয়ে দৌলতদিয়ায় এসেছি। গত কয়েকদিন ধরে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় পারের অপেক্ষায় বসে আছি। কবে ফেরি পাবো কে জানে।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী ট্রাক চালক রাজু আহম্মেদ বলেন, আমার মত অনেক ট্রাক চালক কয়েকদিন ধরে বসে আছে। আমাদের খোরাকির টাকা ফুরিয়ে গেছে। এখন তো বড় কষ্টে আছি। সময়মত মাল ডেলিভারি দিতে না পারলে পেমেন্ট পাবো না।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের যাত্রী সেলিনা বেগম জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে বাস এসে বসে আছি। ফেরির দেখা এখনও মেলেনি।
মাগুরা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী সফিক সেখ বলেন, শুনেছি ঘাটে ডাইরেক্ট বাস পারাপারে সমস্যা। তাই লোকাল হয়ে ভেঙে-ভেঙে যাচ্ছি। ব্যাগ ও পরিবার নিয়ে রোদ্রের মধ্যে অনেক কষ্ট হচ্ছে। দৌলতদিয়া ঘাটে এমন সমস্যা লেগেই থাকে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আবদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান,পদ্মার পানি কিছুটা কমেছে। তবে নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে আগের চেয়ে সময় বেশী লাগছে। তাই ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে। যানবাহনগুলো পারের আশায় সিরিয়াল রয়েছে। তাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। ঘাট রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অংকুর বাংলানিউজকে জানান, ঘাটের উজানে দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নে প্রচুর ভাঙন রয়েছে। ভাঙনে যদি দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ভেঙে নিয়ে যায় তাহলে পানির ধারটি সরাসরি ঘাটে এসে লাগার সম্ভাবনা আছে। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আর সামনের বছরে আমরা একটা প্রকল্প হাতে নেব। এর আগেও আমরা দৌলতদিয়া ঘাটে কাজ করেছি। এখনও দৌলতদিয়া ঘাটে কাজ করছি। ইনশাআল্লাহ আমরা ঘাট রক্ষা করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
এসএইচ