ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘সুস্থ-মেধাবী জাতি চাই, প্রতিদিনই ডিম খাই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
‘সুস্থ-মেধাবী জাতি চাই, প্রতিদিনই ডিম খাই’

ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশফাক আলী খান খসরু বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ প্রতিদিনই একসঙ্গে দু’টি বা তার অধিক ডিম খায়। আমাদের দেশের মানুষ একটি খেতেই ভয় পায়। ডিম খেলে নাকি রোগবালাই বাড়বে।

এ ভুল ধারণা ভেঙে সুস্থ-সবল জাতি গড়ার উদ্দেশে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খাওয়ার জন্য সবার কাছে আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘সুস্থ-মেধাবী জাতি চাই, প্রতিদিন ডিম খাই’ স্লোগানে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত হয় এ আলোচনা সভা।

প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে ফিড মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের মাংস ও ডিম বিদেশে রপ্তানির এখনি সময়। কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা যদি মাংসে বা ডিমে ক্ষতিকর কোনো কেমিক্যাল বা অ্যান্টিবায়োটিক পায়, তাহলে রপ্তানির সব পথ বন্ধ হয়ে যাবে।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পোলট্রি সায়েন্সের অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসেন।  

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মন্ডল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, বিপিআইসির সভাপতি মসিউর রহমান, ওয়াপসা বাংলাদেশের সভাপতি আবু লুৎফে ফজল রহিম খান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার প্রমুখ। এসময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, ডিম একটি পরিপূর্ণ খাদ্য। ডিমে মিনারেল ও ভিটামিন আছে। নব্বইয়ের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ে মা ও শিশু অপুষ্টির হার এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে। শুধু ডিম ও মুরগির মাংসের উৎপাদন বাড়ার কারণেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানান তারা।

এছাড়া আলোচনা সভায় বক্তারা সরকারের কাছে চারটি প্রস্তাব রাখেন। প্রস্তাবের মধ্যে- স্কুলের টিফিন সপ্তাহে অন্তত দু’টি সিদ্ধ ডিম দেওয়া, পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য দু’টি ডিম বাধ্যতামূলক করা, ডিম সম্পর্কিত ভুল ধারণা সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রচার এবং ডিমের সঠিক তথ্য ও জ্ঞান, পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত বিষয়গুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।

সভায় জানানো হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সারাদেশে এক হাজার ৭১০ কোটি ৯৭ লাখ ডিম উৎপন্ন হয়েছিল। একইসঙ্গে সারাদেশে ডিমে মোট ১১ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
পিএস/এবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।