শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সাংবাদিক রোকেয়া হায়দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ভিওএ ফ্যানস ক্লাবের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার আমেরিকান সেন্টারের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার আরলিসা রেনল্ডস।
আরলিসা রেনল্ডস প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমি নিজেও রোকেয়া হায়দারের একজন ভক্ত। তার কর্মময় জীবনে পথচলাটা সহজ ছিল না।
তিনি জানান, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পুরুষ শাসিত সমাজে একজন রোকেয়া হায়দার হয়ে উঠার পেছনে সাহস, মেধা, সময়, শ্রম ব্যয় করেতে হয়েছে। রোকেয়া হায়দার একদিনে গড়ে ওঠেননি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে রোকেয়া হায়দার বলেন, শুরু থেকেই সঠিক তথ্য পরিবেশনের আদর্শ নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকা এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় সঠিক সংবাদ শোনার জন্য মানুষ ভয়েস অব আমেরিকা শোনেন এটি আমাদের গর্ব।
যশোরের মেয়ে হলেও বাবার কর্মসূত্রে রোকেয়া হায়দারের জন্ম কলকাতায়। সেখানেই সেন্ট জোনস বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবন শুরু।
পরে ঢাকার তোপখানা রোডে থেকে ইডেন কলেজে পড়াশোনা এবং পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্টবিজ্ঞানে মাস্টার্স অর্জন করেন।
১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম বেতারর নিয়মিত অনুষ্ঠান ঘোষিকা হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকেই ঢাকা বেতার ও টিভিতে নিয়মিত খবর পড়তেন।
১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়েস অব আমেরিকার (ভিওএ) আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন ডিসিতে যান। সেই থেকে পুরাদস্তুর সাংবাদিক বনে যান। ২০১১ সাল থেকে ভিওএ’র বাংলা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বাংলা বিভাগে তিনিই প্রথম নারী।
৩৭ বছরের পেশাগত দায়িত্ব পালনে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য আমেরিকার সম্মানজনক 'অল স্টার অ্যাওয়ার্ড' রোকেয়া হায়দারের ঝুড়িতে এসেছে।
এছাড়া কাজের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
পিএস/এবি/জেআইএম