সোমবার (১৫ অক্টোবর) দিনগত রাতে রাজশাহী মহানগরের সিপাইপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। আরিফুল সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন।
এ মামলার অপর আসামি রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। রফিকুলের বাড়ি রাজশাহী মহানগরের মাস্টারপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম জেসারত মণ্ডল। রফিকুল ‘মেসার্স রাকা এন্টার প্রাইজ’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর।
দুদক জানিয়েছে, ব্যবস্থাপক থাকাকালে ভুয়া কাগজপত্র হওয়া স্বত্বেও রফিকুলকে দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা ঋণ দেন আরিফুল হক। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, নিজে লাভবান হওয়ার জন্যই এ কাজ করেছেন তিনি। তাই ব্যাংকের পক্ষ থেকে গত বছর রাজশাহীর আদালতে আরিফুল হক ও রফিকুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
পরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা মামলার তদন্ত করেন। তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্রও দাখিল করেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারের জন্য মামলাটি বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠান। মামলাটি দায়ের হওয়ার পর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিলেন। আরিফুল হক ভারতে পালানোরও চেষ্টা করছিলেন। এর মধ্যেই সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে বাড়ি ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ডিডি) জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, তারা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন সময় ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন আরিফুল হক। তিনি রাজশাহী মহানগরে বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ করেছেন। চড়েন দামি গাড়িতে। তারা ধারণা করছেন, অবৈধ অর্থ দিয়েই আরিফুল হক এমন বাড়ি নির্মাণ করেছেন এবং বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।
আরিফুল হককে মঙ্গলবারই রাজশাহীর বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হবে। পলাতক আসামি রফিকুলকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই দুদক কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এসএস/আরআইএস/