মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি পঙ্কজ বিশ্বাস যশোরের চাঁচড়া রূপদিয়া এলাকার আনন্দ বিশ্বাসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি পঙ্কজ বিশ্বাস শ্যামনগর উপজেলার গোদাড়া গ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করার সুবাদে ওই গ্রামের আব্দুল খালেক গাজীর মেয়ে রহিমা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর পঙ্কজ মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে রহিমাকে বিয়ে করার পর সেখানে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি ২০০৮ সালের ৪ মার্চ স্ত্রী রহিমা ও তার চাচাতো বোন হাবিবুল্লাহ গাজীর মেয়ে নার্গিস পারভীনকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়ি যশোরে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে তাদের ভারতে পাচার করে দেয়।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর রহিমার বাবা খালেক গাজী বাদী হয়ে আসামি পঙ্ক্জ বিশ্বাসসহ ৬ জনের নামে ২০০৮ সালের ১৪ মার্চ শ্যামনগর থানায় একটি মানবপাচার মামলা দায়ের করেন। এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ ১৩ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মঙ্গলবার এ মামলায় ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামি পঙ্কজ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে এ সাজার আদেশ দেন।
তবে, এ মামলার অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বাংলানিউজকে জানান, এ মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এসএইচ