ঝর্ণা মন্ডল উপজেলার পশ্চিম গঙ্গাবর্দী গ্রামের দুলাল মন্ডলের স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে পশ্চিম গঙ্গাবর্দী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ঝর্ণা মন্ডলের স্বামী দুলাল মন্ডল রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার ছেলে কৃষ্ণ মন্ডলও (১৯) পড়াশোনার পাশাপাশি তার সঙ্গে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মঙ্গলবার সকালে দুলাল ও তার ছেলে কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। ঝর্ণার মেয়ে বন্যা (১৭) দুর্গাপূজা আগেই মামার বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। তাই বাড়িতে ঝর্ণা একাই ছিলেন। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে এই পরিবারের সদস্যরা পশ্চিম গঙ্গাবর্দী এলাকার ওই জায়গায় জমি কিনে বসবাস করছিলেন। কারও সঙ্গে ওই পরিবারের কোনো দ্বন্দ্ব ছিলো বলে স্থানীয়দের জানা নেই।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে আশপাশের লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছে, দিনের কোনো এক সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই গৃহবধূকে কুুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপের চিহ্ন রয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান এসআই বেলাল হোসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, ধারণা করা হচ্ছে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারণ ঘরের কোনো মালামাল খোয়া যায়নি। এছাড়া মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
ওএইচ/