প্রবারণা পূর্ণিমা শেষে মাসব্যাপী এ ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলার বিহারে বিহারে কঠিন চীবর উৎসব শুরু হয়।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) খাগড়াছড়ির কল্যাণপুর বৌদ্ধবিহারে প্রথম কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
মহা উপাসিকা বিশাখা প্রবর্তিত চীবর দানই হলো কঠিন চীবর দানোৎসবের প্রধান আকর্ষণ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরি করে সেই সুতায় চীবর তৈরি করা হয়ে থাকে। প্রথমে চরকায় তুলা থেকে সুতা তৈরি করার পর, সুতা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় রং দিয়ে বেইনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় চীবর বা কাপড়। এই চীবর পর দিন বিকেলে দায়ক-দায়িকারা উৎসর্গ (দান) করেন ভান্তেদের উদ্দেশ্যে। বৌদ্ধ ধর্মপ্রিয় মানুষ পুণ্যের আশায় দলে দলে ছুটে যান বিহারে। উৎসবে পাহাড়িরা ছাড়াও বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণের মানুষ অংশ নেন।
কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে বিহার প্রাঙ্গণে ঊষা বন্দনা, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, প্রদীপ পূজা প্রভৃতি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। ভান্তের প্রবজ্জা গ্রহণ, পরজন্মে জ্ঞান লাভের উদ্দেশ্যে পিদিমা বা কল্পতরুতে দান করেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। সন্ধ্যায় হাজারও বাতি প্রজ্জ্বলন ও ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে ধর্মীয় কর্মসূচি শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এডি/এফএম/আরবি/