তবে মৃতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। এ সংখ্যা এখনও সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার এসব তথ্য বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
বিশেজ্ঞদের মতে, বৃষ্টি বাড়ায় ডেঙ্গুর হার বেড়েছে। কেননা বৃষ্টির পানিতেই মশার লার্ভা প্রজননে সক্ষম হতে পারে। এক্ষেত্রে মশার লার্ভা নিধন কার্যক্রমে কিছুটা ঘাপলা রয়েছে। নইলে বৃষ্টি বাড়লে মশা বাড়ার কথা না। যে কারণে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কখনও বাড়ছে আবার কখনও কমছে।
এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মেতে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন, সেপ্টেম্বরে ১৬ হাজার ৮৫৬ এবং অক্টোবরের ১৫ দিনে ৪ হাজার ৫১৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
তাছাড়া বাংলাদেশে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ডেঙ্গুতে আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। যার মধ্যে আগস্ট মাসে ছিল সর্বোচ্চ।
ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে রাজধানীর মাত্র ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। একই সময়ে ঢাকার বাইরে ৭৩৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কমছে না ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সারাদেশে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ১৯৪ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে আরও নতুন ৯২ জন ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬২ জন। ঢাকার বাইরে আরও ২০৯ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯৫ জন। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৩০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৩০০ জন। অর্থাৎ সারাদেশে এ সময়ে রোগী বেড়েছে ১ জন।
রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১২ জন, মিটফোর্ডে ১৭, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৩, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০ জনসহ ঢাকা শহরের সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত হাসপাতালে ৬৭ জন ভর্তি রয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ২৫ জন।
এদিকে, ঢাকা শহর ব্যতিত ঢাকা বিভাগে ৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯, খুলনায় ৬৮, রংপুরে ৭, রাজশাহীতে ১২, বরিশালে ৩১, সিলেটে ১ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।
হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯২ হাজার ১৬৬ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৭০ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের ৯৮ দশমিক ৪ ভাগ রোগীই ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এমএএম/ইএআর/আরবি/