বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নিখোঁজ হওয়ার দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টায় ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডায় ইউনিয়নের পদ্মা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লক্ষ্মীকুন্ডার মোল্লার ঘাটে তার নৌকা ডুবে যায়।
নাসিম ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা গ্রামের আইনুল মল্লিকের ছেলে।
তার পরিবারের বরাত দিয়ে সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মতলেবুর রহমান মিনহাজ ফকীর বাংলানিউজকে জানান, এই এলাকা থেকে ৩০-৩৫ জনের একটি দল পদ্মা নদীর ওপারে পেঁয়াজ লাগাতে যায়। ফেরার সময় অতিরিক্ত ভারে পাড়ের কাছে নৌকাটি উল্টে যায়। সবাই সাঁতরে উপরে উঠলেও নাসিম পানিতে তলিয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীদের খবর দেওয়ার পরও কোনো ডুবুরি না থাকায় তাদের আসতে বিলম্ব দেখে স্থানীয় জনতা নদীতে জাল ও বড়শী ফেলে উদ্ধারচেষ্টা চালায়। শেষে সন্ধ্যায় বড়শীতে নাসিমের মরদেহ উঠে আসে।
ঈশ্বরদী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাহেব আলী বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঈশ্বরদী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ডুবুরির জন্য অপেক্ষা করছিল। রাজশাহী থেকে ডুবুরি আসার আগেই এলাকাবাসী মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা হলেও ঈশ্বরদীতে কোনো ডুবুরি নেই। পাবনা জেলায় এই পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। রাজশাহী থেকে ডুবুরি আসতে ২-৩ ঘণ্টা লেগে যায়। এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরি থাকলে হয়তো ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হতো।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পাকশী নৌপুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করে। নৌপুলিশের অনুমতিক্রমে নাসিমের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
এইচএ/