বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি পদ্মাসেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এলাকায় সাংবাদিকদের একথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
পদ্মাসেতুর অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে স্ল্যাবের জন্য মোট দুই হাজার ৯৫৯টি প্রি-কাস্ট স্ল্যাবের প্রয়োজন হবে। এরমধ্যে দুই হাজার ৮৯১টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। নভেম্বর মাসের দিকে বাকি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হবে। রেলওয়ে স্ল্যাব ৩৬১টি ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টের পাইলিং পিয়ার ক্যাপের কাজ শেষ। বর্তমানে গার্ডার ও রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। মাওয়া ও জাজিরায় ভায়াডাক্টের জন্য মোট ৪৩৮টি সুপার টি গার্ডার প্রয়োজন হবে। এরমধ্যে ১৫৫টি গার্ডারের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়া ৫৬টি জাজিরা প্রান্তে বসানো হয়েছে। রেলওয়ে ভায়াডাক্টের জন্য মোট ৮৪টি আই গার্ডারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওই গার্ডারের মধ্যে জাজিরায় ৪২টি স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ২০১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ ও আর্থিক অগ্রগতি ৫০.৪০ শতাংশ। মোট ১৪ কিলোমিটার নদীশাসন কাজের মধ্যে ০৬.৬০ কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে। নদীশাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮৭০৭.৮১ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় চার হাজার ৩৮৮.৪৬ কোটি টাকা। সংযোগ সড়কের কাজের অগ্রগতি শতভাগ সম্পন্ন। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সেতু মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি এমইও স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে আধুনিক ও উন্নত মানের মিলিটারি ফার্ম স্থাপন করা হবে। এজন্য সব জমি মিলিয়ে ৫৯ একর জমি প্রয়োজন হবে। সেতু মন্ত্রণালয় এমইও মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করবে। সেখানে দুধ আর মাংস উৎপাদন হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- পদ্মাসেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯ আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা
এনটি