তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি ইন্দোনেশিয়ার মোট রপ্তানির মাত্র ১.০৫ শতাংশ। আর নেপালের রপ্তানি .০০৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাকার্তার বিএসডি এলাকার একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশ অ্যান্ড নেপাল বিজনেস ফোরাম নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে তিন দেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিষয়ে বক্তব্য দেন আলোচকরা। তারা বলেন, শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশ কিংবা নেপালের তুলনা চলে না। বাংলাদেশেও বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে বাংলাদেশ। অথচ এখনও সস্তায় শ্রমিক পাওয়া যায়।
ইন্দোনেশিয়ান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে সেমিনারে বলা হয়, এ দেশের মানুষ ইন্দোনেশিয়া ও তার জনগণের প্রতি খুবই ইতিবাচক ধারণা পোষণ করে।
ইন্দোনেশিয়ায় শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মো. বোরহান উদ্দীন বলেন, বিনিয়োগের জন্য ইন্দোনেশিয়া একটি চমৎকার দেশ। তবে বাংলাদেশও গত দুই দশকের চেয়ে এখন অনেক বেশি এগিয়ে আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বার্ষিক রফতানির পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দুঃখজনকভাবে ইন্দোনেশিয়ার চেয়ে তা অনেক অনেক কম। ইন্দোনেশিয়ার ২৬ কোটি জনগণের চাহিদা অনেক বেশি।
সেমিনারে জানানো হয়, চট্টগ্রামে আগামি ২ নভেম্বর থেকে আয়োজিত উইম্যান চেম্বারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলায় ইন্দোনেশিয়া পার্টনার কান্ট্রি হবে। ইন্দোনেশিয়ার ৯০ জন বিনিয়োগকারী মেলা পরিদর্শন করবেন।
সেমিনারে মডারেটর ছিলেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার মিনিস্টার অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ফেরদি পিয়াই। আলোচক ছিলেন ইন্দোনেশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান দীপক সামতানি, পিটি ক্রাফটস ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম বোরহান উদ্দীন এবং ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি রিয়াদ আলী। সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা সুমারনো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
টিসি