বুধবার (১৬ অক্টোবর) কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন শিকদার, মাহামুদুল হাসান, রমজান ফকির, ইয়াসিন খান, রহমত শেখ, রিপন, ইয়াসিন শেখ জানায়, বুধবার বাংলা পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ করে অধ্যক্ষ বাকের হোসাইন কাচি দিয়ে ২০ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্র বাংলানিউজকে জানায়, বাংলা পরীক্ষার প্রথম ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে হুজুর আমাদের হলে ঢুকে সব ছাত্রের চুল কেটে দেন। এ ঘটনার পর আমরা পরীক্ষায় না দিয়ে বেরিয়ে আসার পরে আমাদের দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়। এরপরে আমরা পরীক্ষা অংশ নেয়।
এ বিষয়ে কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বাকের হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণির সব ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ওদের চুল কেটে দিয়েছি। আমি ওদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে থাকা ও নীতি নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে ফরম পূরণ করতে দেবনা এ কথা বলিনি।
কোটালীপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
এনটি