বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় ফাইয়াজের বাবা বরকত উল্লাহ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের হাতে আনুষঙ্গিক কাগজপত্র তুলে দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী মনজুর কাদির জানান, ফাইয়াজের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে ভর্তি সংক্রান্ত সব দায়িত্ব গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ফাইয়াজের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, কিছুক্ষণ আগেই কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে ঢাকা কলেজের ছাড়পত্র ও ছবিসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দিয়েছি। উনারা ইতোমধ্যেই প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে রেখেছেন। সেজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
এসময় তিনি আরও বলেন, দেখুন কেই বা পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনভর অজানা শঙ্কায় দিন কাটাতে চায়? এখানে ভর্তি হয়ে ফাইয়াজ পরিবারের সান্নিধ্যে থেকে পড়ালেখা করুক এটা ওর মায়েরও চাওয়া। ফাইয়াজকে যখন ঢাকা কলেজে ভর্তি করি তখন বড় ভই আবরার ফাহাদ নিজের কাছে রেখে ওকে গড়ে তুলতে চেয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে সে নাই, সে কারণে ফাইয়াজও একা ঢাকা থাকতে চাচ্ছে না। তাছাড়া ওর মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থাও খুব খারাপ। বড্ড বেশি ভেঙে পড়েছে। সেই সঙ্গে এক অজানা নিরাপত্তার শঙ্কা তো আছেই। সে কারণে সব বিষয় চিন্তা করেই ফাইয়াজকে ঢাকা থেকে নিয়ে আসলাম।
শঙ্কামুক্ত থাকতে চাই বলে ওকে এখানে ভর্তি করালাম। এছাড়া ওর লেখাপড়ার খোঁজ খবর নেওয়ারও তো আর কেউ নেই সেজন্য আমাদেরই এখন ওর পড়ালেখার খেয়াল রাখতে পারব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
আরএ