বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ বেগম ফাহমিদা কাদের রিভিউ আবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানির জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসিম সরকার হাকিম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি ও অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে ইউএনও এস এম সাইফুর রহমান বাদী হয়ে গত ২২ মে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আইনজীবী নাসিম সরকার হাকিম বলেন, বাদীকে নোটিশ না করে ওই মামলাটি খারিজ করা হয়। পরে বিষয়টি বাদী জানতে পেরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিউ আবেদন করেন। বিচারক বৃহস্পতিবার দুপুরে রিভিউ আবেদনটি আমলে নিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম প্রতিরোধ এবং খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহে বাধা দেওয়ায় গত ২২ মে দুপুরে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুলের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হক রেজাসহ ২০/২৫ জনের একটি দল উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে গিয়ে ইউএনওকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় তারা হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ইউএনও বাদী হয়ে রেজাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা, পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি আরমান, কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াদ, যুবলীগ নেতা রিপন, সাইদুল, জহুরুল এবং সোহাগ।
ওই মামলাটির তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন।
এদিকে বিচার না পেয়ে অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই গত ১৯ সেপ্টেম্বর বেলকুচি থেকে বদলী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগ দেন ইউএনও এস এম সাইফুর রহমান। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলার পর থেকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছিল। মামলার পর একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। উপরন্তু তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হলে বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন। এমন পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে বেলকুচির কর্মস্থল ত্যাগ করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
এসএইচ