প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেল থেকে বইতে শুরু করে মৃদু হিমেল বাতাস। আর রাত ভারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছের পাতায় টুপটাপ শব্দ করে ঝরে পড়ে কুয়াশা।
প্রকৃতির পরিবর্তন টের পেয়ে ব্যবসায়ী চিন্তায় নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে শহরের ফুটপাত দখলকারী আর ভাসমান পিঠা-ডিম বিক্রেতারা। এরই মধ্যে তারা শহরে হাঁকডাক শুরু করেছেন। ভোজন বিলাসী ক্রেতা টানতে পরিপূর্ণ শীতে তাদের এই ডাক-চিৎকারে পুরো শহর থাকবে এই হকারদের দখলে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। বিকেল হলেই বোঝা যায় পড়েছে শীত। রাতে বিছানায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় গায়ে কম্বল বা হাল্কা-পাতলা কাঁথা গায়ে জড়াতে হয় বলেও মন্তব্য করেন সরকারি কর্মকর্তা তপন বাকালি ও মো. জুয়েল খান।
বাংলানিউজকে তারা জানান, বর্ষা শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগ থেকেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছিলো। আর এখন তার পুরোপুরি প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এদিকে শহরের খতিবনগুয়ার বাসিন্দা রিকশাচালক সামছু উদ্দিন ও বালিবাজারের তোতা মিয়া বাংলানিউজকে জানান, রাতে এখন শহরের সড়ক বাতির আলো থেকে বেরিয়ে শহরতলী এলকায় রিকশায় যাত্রী নিয়ে গেলে কুয়াশায় পথ চলতে সমস্যা হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে শীতের দাপট বেশি হবে বলেই মনে করছেন মেহনতকারী এই মানুষেরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এএটি