বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জেলার জৈন্তাপুর টিপরাখলা সীমান্তে ১২৮৮ নং আন্তর্জাতিক পিলার সংলগ্ন স্থানে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শেষে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজির-১৯) জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল কাদির।
ভারতের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ’র হেওয়াই ক্যাম্প কমান্ডার আইএসপি সুরেন্দ্র রায়। তার সঙ্গে ছিলেন এসআই পংকজ কুমার, এইচ সি মহর সিং, ভারতীয় পুলিশের এসআই আর এ পারিয়াং এবং বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের প্রায় অর্ধ শতাধিক সদস্য।
স্থানীয়রা জানান, ভারতের এসপিটিলা হেওয়াই বস্তির চংকর খাসিয়ার স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী গত ১২ অক্টোবর প্রেমের টানে টিপরাখাল গ্রামের হারিছ উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ মিয়ার হাত ধরে বাংলাদেশে চলে আসেন। এ ঘটনার জেরে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার টিপরাখলা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুন নুরকে শতাধিক গরুসহ অপহরণ করে নিয়ে যায় ভারতীয় খাসিয়ারা। অপহৃত আব্দুন নুর টিপরাখেলা গ্রামের তজম্মুল আলীর ছেলে। এ নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জৈন্তাপুর সীমান্তের টিপরাখাল ১২৮৮ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার এলাকায় দু’দেশের পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে দু’দিনের মধ্যে ভারতীয় নারীকে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু ওই নারী যেতে রাজি না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে ১২৮৮ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের ৩ থেকে ৬ নম্বর সাব পিলারের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় হেওয়াই বস্তির খাসিয়ারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে শতাধিক গরুসহ আব্দুন নুরকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিজিবি-১৯ ব্যাটালিয়নের জৈন্তাপুর ক্যাম্পের জওয়ানরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে ঘটনার নিষ্পত্তি হয় জানান জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির। পুলিশের মাধ্যমে ওই নারীকে উদ্ধারের পর হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এনইউ/এএটি