শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১০ থেকে ১২ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় আয়োজিত বাংলাদেশ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর যৌথ টহল অনুষ্ঠিত হয়।
এ যৌথ টহলে নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধজাহাজ স্বাধীনতা ও আলী হায়দার এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর দু’টি যুদ্ধজাহাজ রাণভিজয় ও কুথার এবং ভারতের মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট (এমপিএ) অংশগ্রহণ করে। টহল শেষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজ দু’টি বিশাখাপত্তমে পৌঁছে যৌথ টহল সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, সমুদ্র এলাকায় অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, চোরাচালান ও অবৈধ অভিবাসন, জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনের লক্ষ্যে এ যৌথ টহল পরিচালিত হয়। দু’দেশের এ যৌথ টহল বঙ্গোপসাগরে নিজ নিজ জলসীমায় সমুদ্র বিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান, তথ্যাদির সঠিক ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রপথে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনাকারী যানসমূহ চিহ্নিতকরণ ও বিভিন্ন অপরাধ নিরসনকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়। এর আগে, যৌথ টহলের উদ্দেশ্যে জাহাজ দু’টি গত ৯ অক্টোবর খুলনার মোংলা নৌ জেটি ত্যাগ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
আরআইএস/