শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের দুর্গম ঘুঘুমারির চরের একটি কাশবন থেকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় জেমির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত জেমি রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের শাহ আলম মোল্লার মেয়ে।
জেমির মামা সিরাজুল ইসলাম বাবু বাংলানিউজকে জানান, গত ১৬ অক্টোবর স্কুলের পরীক্ষা শেষে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে রৌমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
পরে শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে সুখের চর গ্রামের একটি কাশবনের কাছে জেমির বই ও পায়ের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন ছেলেমেয়ে। এরপর তারা বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে খোঁজাখুঁজি করে কাশবনের ভেতর ওড়না দিয়ে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ পায়। পরে রৌমারী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। মরদেহের গলায় ওড়না পেঁচানো ও দু’হাত পেছনে বাঁধা ছিল।
‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে,’ বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এফইএস/এসএ