রোববার (২০ অক্টোবর) দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী জংশনে প্রবেশ করারন কথা থাকলেও তা না করে ট্রেনটি রাজশাহী-আবদুলপুর- ঈশ্বরদী রেলরুটের ঈশ্বরদী বাইপাস অতিক্রম করে রাজশাহী অভিমুখে যাত্রা শুরু করে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, আগে থেকেই দিক পরিবর্তন করে চালানোর সিদ্ধান্ত ছিল।
‘কারণ একদিকে সোজাসুজি চলতে চলতে কার্ভের কারণে ট্রেনের চাকার নির্দিষ্ট জায়গা ক্ষয় হয়। সেটি ঠেকাতে দুই থেকে তিন বছর পর পর এটা করতে হয়। কোচের দিক পরিবর্তন হলে ট্রেনের চাকারও দিক পরিবর্তন হয়। ফলে ক্ষয় পূরণ হয়ে যায়। ’
রেলের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ট্রেনে থাকা যাত্রীরা যাতে আতঙ্কিত না হয়, সেজন্য প্রতিটি স্টেশনেই মাংকিং করে যাত্রীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ট্রেনের যাত্রী জুয়েল মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যথারীতি রাত সাড়ে ১২টায় ঈশ্বরদী জংশনে যাত্রা বিরতির কথা ছিল। রাত সোয়া ১২টার দিকে ঈশ্বরদী জংশনে না এসে হঠাৎ ট্রেনটি রাজশাহী অভিমুখে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের দিকে চলে যায়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে ট্রেনের চালক ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে দেন। এর দীর্ঘসময় পর ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশনে আসে।
রেলসূত্রে জানা গেছে, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ৪৬টি আন্তঃনগর ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। চলমান এ কর্মসূচির আওতায় সবগুলো ট্রেনই দিক পরিবর্তন করে চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এসএ/