সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গত ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের পহরডাঙ্গা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে নাঈম দুর্বৃত্তের হাতে নিহত হন।
এ ঘটনায় পরদিন ৮ আগস্ট নিহতের মা মাফুজা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে তেরখাদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বাংলানিউজকে পিরু শেখের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ আড়াই মাস নাঈমের বাবা পিরুকে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে পরিবারটি তাকে চিকিৎসা করতে করতে নিঃস্ব হয়ে আবার খুমেক হাসপাতালে নিয়ে এসে তার চিকিৎসা করছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পিরুর মাথায় বড় ধরনের আঘাত ছিল।
তিনি বলেন, ২০ আগস্ট নাঈম হত্যায় মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানের অভিযোগে ছাগলাদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম দ্বীন ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, ইউপি চেয়ারম্যান দীন হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। পরে আদালত তার জামিন বাতিল করেন। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস/