মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় দেন।
হত্যার শিকার সালমা চাঁদপুর শহরের উত্তর শ্রীরামদী মাদ্রাসা রোডের মৃত খালেক বেপারির মেয়ে এবং গফুর মিজি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর এলাকার চির্কা চাঁদপুর গ্রামের মৃত রহমান মিজির ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে সালমার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম (১৯) বোনের বাসায় আসেন। রাতের খাবার শেষে সাইফুল পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে ঘরে আসেন গফুর মিজি। তখন স্ত্রী তাকে বলেন, আপনি রাতে দেরি করেন আসেন কেন? এত রাতে বাইরে কী করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরদিন ২১ অক্টোবর সকাল ৬টার দিকে সালমার ছোট ভাই সাইফুল ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বোনের মরদেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে এবং গলাতে ফাঁসের চিহ্ন। তাৎক্ষণিক সে চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। ২০১৬ সালের ৩০ জুন ময়নাতদন্ত পাওয়ার পর পুলিশ নিশ্চিত হয় সালমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সেই আলোকে সালমার মা রহিমা বেগম (৫৫) একই বছরের ১ জুলাই গফুর মিজিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসামি গফুর মিজিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম সরকার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আমান উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামির উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাইফুল ইসলাম শেখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এসএইচ