মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) কবির স্মৃতিময় দিনগুলো বাঁচিয়ে রাখার দাবিতে মৌন মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিএম কলেজের জীবনানন্দ চত্বরে ও দুপুর সাড়ে ১২টায় অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মৌন মানববন্ধন করেন সরকারি ব্রজমোহন কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
নগরের বিভিন্ন স্থানে এই মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে শোভিত প্লে-কার্ডে নগরের জলাশয় ভরাট বন্ধ, দখল-দূষণের মাধ্যমে প্রকৃতি হত্যা বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবি তোলা হয়।
মৌন মানববন্ধনের সমন্বয়ক জাহিদ আব্দুল্লাহ রাহাত বাংলানিউজকে বলেন, রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিময় শহরের রূপ বৈচিত্র্য ধরে রাখতে এবং উন্নয়নের নামে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ধ্বংস বন্ধ করতেই আমাদের এই আন্দোলনের সূচনা।
তিনি বলেন, ১২ বছর আগেও বরিশাল শহরে ২২ হাজার পুকুর ছিল। বর্তমানে রয়েছে মাত্র দেড়হাজার। দিন দিন প্রকৃতি উজাড় হয়ে যাচ্ছে। কংক্রিটের শহর বিনির্মাণ চলছে। অথচ জীবনানন্দ দাশের বিভিন্ন দিবসে লোক দেখানো জীবনানন্দ চর্চা করে থাকেন সুশীল সমাজ। ধানসিঁড়ি নদী আজ মৃতপ্রায়। জীবনানন্দ আবার ফিরে আসলে কী দেখবেন? প্রকৃতির মৃত শহর ও নদ-নদী?
‘জল-জঙ্গল লুট হয়ে গেলে জীবনানন্দও লুট হয়ে যাবে। সে কারণে শুধু মুখে নয়, জীবনানন্দের বোধকে ধারণ করে তার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে,’ যোগ করেন রাহাত।
অন্যদিকে, সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় কবিতা পরিষদ বরিশালের আয়োজনে জীবনানন্দ অঙ্গনে কবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপরে কবি স্মরণে স্বরচিত কবিতা পাঠ ও তার জীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ছড়াকার তপংকর চক্রবর্তী। এছাড়া শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা করে প্রগতিশীল লেখক সংঘ বরিশাল ও আড্ডা ধানসিঁড়ি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এমএস/এফএম/