মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এএইচএম কামরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে মিরন হত্যার সঙ্গে জড়িত জসিমকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান, হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জসিম জানিয়েছে তিনি ছাড়াও লোকমান এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জামালসহ আরও একজন জড়িত ছিলেন। এর আগে গত ১১ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত নম্বরবিহীন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ চালক জামালকে আটক করে পুলিশ। এরই মধ্যে দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন জামাল।
এএইচএম কামরুজ্জামান জানান, এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ইলিয়াছ কোবরা গত ১৪ অক্টোবর দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলি বিনিময়ে নিহত হন। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে পূর্ব শত্রুতা ও স্থানীয় বিরোধের জেরে মিরনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার দত্তপাড়ার আলাদাতপুরে চার মুখোশধারী স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিরনকে গুলি করে হত্যা করে।
মিরন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মৃত মনছুর আহম্মদের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এসআর/ওএইচ/