মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইএবি মিলনায়তনে জলবায়ু পরিবর্তনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চতুর্থবারের মতো জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনের আলোচনা পর্বে তিনি একথা বলেন। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পর্যন্ত।
ব্র্যাক আয়োজিত আলোচনা পর্বের বিষয় ছিল ‘বাংলাদেশে অভিবাসীবান্ধব সহনশীল নগর তৈরিতে পাবলিক-প্রাইভেট-কমিউনিটি পার্টনারশিপ (পিপিসিপি)’।
অভিবাসীদের নিজেদের পরিমণ্ডলে স্বাচ্ছ্যন্দে বসবাসের নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে নিম্নতম গুণগত মান নিশ্চিত করতে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ডিরেক্টর জনাব মির্জা শওকত আলী। তিনি বলেন, সরকারি পর্যায়ে পলিসি প্রণয়নের ক্ষেত্রে কমিউনিটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত।
এসময় ব্র্যাকের নগর উন্নয়ন কর্মসূচি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী জানান, ‘আলট্রা পুওর’র একটি মডেল নগরের ক্ষেত্রে প্রয়োগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
নগর উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান হাসিনা মুশরফা বলেন, জলবায়ু সহনশীল নগর গঠনে বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) পাশাপাশি পাবলিক সংস্থাগুলোর (বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও সিটি করপোরেশন) সমান দায়িত্ব রয়েছে। নগরগুলোকে জলবায়ু সহনশীল হিসেবে গঠনে প্রণীত সব প্রজেক্ট ও মডেলগুলোকে কমিউনিটির সহযোগিতায় ‘স্পেশালি কমিউনিটি ড্রাইভেন অ্যাপ্রোচ’র মাধ্যমে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনায় আরও অংশ নেন সাতক্ষীরার পৌর মেয়রসহ জলবায়ু ও স্থানীয় প্রশাসনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
আলোচনায় নগর পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু-অভিবাসী বিষয়টি অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে নতুন ধারণা এবং সম্ভাবনার বিষয় অগ্রাধিকার পায়। পাশাপাশি, পাবলিক-প্রাইভেট-কমিউনিটি পার্টনারশিপ মডেলের মাধ্যমে অভিবাসীবান্ধব সহনশীল নগর গঠনে ব্র্যাকের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।
আয়োজকেরা জানান, বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় পাওয়া নতুন চিন্তাধারা বা প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার নতুন পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এমএএম/একে