বরখাস্তকৃত খোকন ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের (জয়শীরকাঠী গ্রামের) সদস্য।
ভুক্তভোগী আশা রানী শীলের ছেলে পিজুস শীল সাংবাদিকদের জানান, বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার মা আশা রানী শীলকে বিধবা ভাতার সুবিধাভোগী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।
গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে ভাতা বই নিয়ে বাটাজোর অগ্রণী ব্যাংক থেকে ভাতার পাঁচ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এরই মধ্যে ইউপি সদস্য খোকন শিকদার তার হাত থেকে ভাতা উত্তোলনের পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদারকে জানানো হলে রাতেই ইউপি সদস্য খোকন তাদের (পিজুস) বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এনিয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠকে বসা হলে সেখানে ইউপি সদস্যের টাকা আত্মসাতের বিষয়ের সত্যতা পাওয়ায় চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, ইউপি সদস্য খোকন শিকদার এর আগেও দুই ভাতাভোগীদের টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সে সময় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলে ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কাজ করবে না বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার দেন।
একই অনৈতিক কাজ বারবার করায় ইউপি সদস্য খোকন শিকদার ওয়ার্ডের যাবতীয় দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে সংরক্ষিত নারী সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এমএস/জেডএস