মাগুরা ছানাবাবুর বটতলায় এবার কাত্যায়ানী পূজার মূর্তি তৈরি করা হয়েছে ‘যোদ্ধা’র আদলে। ৫৫ ফুট উঁচু এ প্যান্ডেল ঘিরে ইতোমধ্যে শহরে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।
এবার মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই কাত্যায়ানী মায়ের মূর্তি তৈরি করছেন উজ্জ্বল কুমার গুরু। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর কাত্যায়ানী পূজায় চমক থাকবে ‘যোদ্ধা’। এ মূর্তি তৈরিতে ব্যয় হবে ১৫ লাখ টাকা। পূজা মণ্ডপ তৈরি হবে মহাভারতের অজুনের রথের আদলে।
রিমি ডেকোরেটরের মালিক রাজিব সাহা বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আমি কাত্যায়ানী পূজার প্রধান গেট তৈরি করছি মহাভারতের যুদ্ধের রথের আদলে। যাতে ব্যয় হবে ২০ লাখ টাকা।
ছানাবাবুর কাত্যায়ানী পূজার সভাপতি বিকাশ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, সংগঠনে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৭০০ জন। তাদের চাঁদাতেই পূজার যাবতীয় খরচ হয়। আমাদের সংগঠনের সদস্যরা সারা বছর বিভিন্ন রকম সমাজসেবামূলক কাজ করে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য গীতা স্কুল, কন্যাদায়গ্রস্ত, চিকিৎসাসহ আর্থিক সহযোগিতা ও বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ করে থাকি।
এ বছর মাগুরা পৌর এলাকায় ১৫টিসহ জেলায় মোট ১৫০টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পংকজ কুণ্ডু আর বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ১৫০ বছর ধরে দুর্গা পূজার এক মাস পর এ পূজা হয়। শহরতলীর পারন্দুয়ালী এলাকার সতিশ মাঝি এ পূজার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতার পরে যা ব্যাপক বিস্তৃতি পায়। এটা জেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা হলেও এ উৎসবে মিলিত হয় সব ধর্মের মানুষ, যা জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন।
জেলায় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু কুণ্ডু বাংলানিউজকে বলেন, মা দুর্গার ষষ্ঠ রূপের নাম কাত্যায়নী। ধর্মীয় শাস্ত্রমতে এ পূজা করা হয়।
মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার খান মোহম্মদ রেজওয়ান বাংলানিউজকে বলেন, পূজায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য শহরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির সমন্বয়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া মণ্ডপগুলোর আশপাশের এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আশাকরি পূজা নির্বিঘ্নে শেষ করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এনটি