সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব, উপ-সচিব ও সহকারী সচিব পদগুলো বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, অধঃস্তন অফিস, বেসরকারি অফিসে ব্যবহার হওয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টির পর এ নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিধি অধিশাখার যুগ্ম-সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক পরিপত্র বুধবার (২৩ অক্টোবর) জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৫(৬)-এর আলোকে প্রণীত ‘রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬’, ‘সচিবালয়ে নির্দেশমালা, ২০১৪’ এবং অন্যান্য বিধি দ্বারা সরকারের বিভিন্ন পদের নাম ও পদবি সংজ্ঞায়িত।
সরকারের সিনিয়র সচিব বা সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব, উপ-সচিব ও সহকারী সচিব পদে ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতি ‘সরকারের উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২' দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
পরিপত্রে বলা হয়, সরকারের পদের নামগুলো বিধি বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা সংগঠন, অধঃস্তন অফিস ও সংযুক্ত দপ্তর এবং বেসরকারি অফিসগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে। উল্লিখিত বিধিমালা দ্বারা নিয়োগ বা পদোন্নতিপ্রাপ্ত নন এমন ব্যক্তি সরকারের পদের নামগুলো অননুমোদিত ব্যবহারের ফলে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। বিধি বহির্ভূতভাবে বা আংশিক পরিবর্তন করে উল্লিখিত সরকারি পদের নামগুলোর ব্যবহার নৈতিকতা-পরিপন্থি এবং দণ্ডবিধি- ১৮৬০’ ও ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ প্রেক্ষাপটে অধঃস্তন অফিসে সচিব পদগুলো ব্যবহার না করতে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অধঃস্তন অফিসের পদের নাম ও পদবি সৃজনের ক্ষেত্রে সরকারি পদের নাম ও পদবি সহকারী সচিব, উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব ও সিনিয়র সচিব যেন ব্যবহৃত না হয় এবং ইতোপূর্বে অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান ত্রুটি বা বিভ্রান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
‘সরকারের মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, সংযুক্ত দপ্তর ও অধঃস্তন অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ সাংগঠনিক কাঠামোতে অনুমোদিত পদের নাম ও পদবি পূর্ণাঙ্গ ও সঠিকভাবে তাদের দাপ্তরিক সিলমোহর, নেমকার্ড, নেমপ্লেট, নথি এবং ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে হবে। ’
রাষ্টীয় বা জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে কর্মকর্তাদের তালিকা অনুসরণ করা যেতে পারে বলে পরিপত্রে বলা হয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-সহ বেশকিছু সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সরকারি সচিবের পদগুলো ব্যবহার হয়। বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা না হয়েও সচিব পদ ব্যবহার করায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ক্যাডার পদের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে পরিপত্র জারি করলো সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ