তিনি বলেন, জাতীয় বাস্তবতা ও দেশের উন্নয়ন আবশ্যকতার প্রেক্ষাপটে অনিবার্য ভূমি অধিগ্রহণে সৃষ্ট বিরূপ সামাজিক প্রভাব ও স্থানচ্যুতিজনিত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের জাতীয় পুনর্বাসন নীতিমালা-২০১৯’ চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ভূমি সচিব এ কথা জানান।
নীতিমালা অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণ ছাড়াও বিকল্প বাসস্থান, জমি, প্লট, ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট, ক্ষতিপূরণের অতিরিক্ত নগদ টাকা কিংবা বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা থাকবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অধিগ্রহণ) মো. সিরাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন- ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান, মো. আবদুল হক, আনিস মাহমুদ ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
ভূমি সচিব বলেন, প্রচলিত অধিগ্রহণ আইন ও অধ্যাদেশে জমি-অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের কোনো আইনি বিধান ছিল না। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম যুগোপযোগী করা ও আরো গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে প্রণীত ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭’-এর ৯ ধারার (৪) উপধারা অনুযায়ী, জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের নীতিমালা করছে সরকার।
মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, এ নীতিমালার প্রধান উদ্দেশ্য হল দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন, টেকসই উন্নয়ন অভিলক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন, ভূমি অধিগ্রহণে বাস্তুচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অথবা ব্যক্তি বিশেষের অধিকার সুরক্ষা। উৎপাদনমূলক ও টেকসই ব্যবস্থার মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণে বাস্তুচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অথবা ব্যক্তিকে পুনর্বাসন করা। পুনর্বাসিত জনগণ যেন জীবনমান পুনর্গঠন অথবা উন্নত করতে সক্ষম হয় এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। এছাড়া ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন সহায়তা ছাড়াও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রকল্পের সুফল ভাগাভাগির বিষয়টি বিবেচনা করা।
ভূমি সচিব কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ের অফিস পরিদর্শন ও পরবর্তীতে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ, গণশুনানি করা, স্বচ্ছতার সঙ্গে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া এবং সঠিকভাবে ভূমি রাজস্ব আহরণে আরো ভালোভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এছাড়া ভূমি সেবা হটলাইন ১৬১২২ এ প্রাপ্ত অভিযোগগুলো মন্ত্রী ও তিনি নিয়মিত মনিটরিং করছেন।
কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আসা যুগ্ম-সচিব ও উপ-সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। তারা চারটি দলে ভাগ হয়ে ‘ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের জাতীয় পুনর্বাসন নীতিমালা-২০১৯’ পরিমার্জনের ব্যাপারে নিজেদের মতামত উপস্থাপন করেন।
অধিগ্রহণ আইনের উপধারাটিতে উল্লেখ আছে ‘এ ধারায় উল্লিখিত ক্ষতিপূরণ দেয়া ব্যতিত নির্ধারিত পদ্ধতিতে অধিগ্রহণের কারণে বাস্তুচ্যুত পরিবারকে পুনর্বাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/