বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ইউনাইটেড নেশন অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) রিজিওনাল সেকশন ফর সাউথ এশিয়া, ইস্ট এশিয়া ও প্যাসিফিক ডিভিশন ফর অপারেশনসের প্রোগ্রাম অফিসার দানিয়েল রিজ্জির নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক কেবল অপরাধী ধরে জেলে পাঠায় না, বরং সমাজের সব স্তরের মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে সচেতন করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারি সেবা দেওয়ায় হয়রানি-অনিয়ম দূর করতে পদ্ধতিগত সংস্কারের জন্যও কাজ করছে। কমিশন আইন অনুযায়ী সরকারি সেবা দেওয়ার পদ্ধতি অর্থাৎ বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্যও সরকারের কাছে সুপারিশ করছে। সরকারি পরিষেবা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত করায় কাজ চলছে। আমরা আশাবাদী সবার সমন্বিত উদ্যোগে দুর্নীতিমুক্ত সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করার পথ ক্রমাগত মসৃণই হচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধের বিভিন্ন কার্যক্রমে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাতিসংঘ উন্নয়ন তহবিল কর্মসূচি, জাইকা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকেও সহযোগিতা পাচ্ছে। এছাড়া কমিশনের সঙ্গে এনজিও, মিডিয়াসহ সবারই নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
এসময় দানিয়েল রিজ্জি বলেন, সারা বিশ্বে দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো সংস্থাগুলো সুশাসন সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় অভিবাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। আমরা আশা করি, দক্ষিণ এশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে যে আঞ্চলিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে, তাতে বংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন নেতৃত্বদানকারী সংস্থা হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
ডিএন/টিএ