বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের যৌথভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
সেখান থেকে বাংলাদেশ নারী আইনজীবী সমিতি যশোর নামে একটি এনজিও সংস্থা দুই কিশোরীকে ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা এক কিশোরকে গ্রহণ করেছে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
ফেরত আসা তিন কিশোর-কিশোরী হলো- নড়াইলের কালিজয়পুর গ্রামের নিজাম শিকদারের ছেলে তহিদুল শিকদার (১৫), খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার দেব প্রসাধ ঢালির মেয়ে নুপুর ঢালি (১১) ও যশোররের শার্শা উপজেলার পণ্ডিতপুর গ্রামের জসিম উদ্দীনের মেয়ে হালিমা খাতুন (১৩)।
জানা যায়, ভালো কাজের প্রলোভলে সীমান্ত পথে দালালের খপ্পরে পড়ে ভারতে পাচারের শিকার হয় তারা। দালালরা তাদের সেখানে কাজ না দিয়ে ফেলে পালিয়ে আসে। পরে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। সেখান থেকে কলকাতার সুকন্যা হোম নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের আশ্রয়ে রাখে। পরে দু’দেশের সরকারের অনুমতিতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আইনে তারা ফেরত আসে।
এনজিও সংস্থা বাংলাদেশ নারী আইনজীবী সমিতি যশোর শাখার অ্যাডভোকেট নাসিমা খাতুন বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান, ফেরত আসা কিশোর ও কিশোরীরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চায়, তবে তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
বেনাপোল পোর্টথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের এনজিও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
আরবি/