ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘গ্রাম থেকে উঠে আসা শিশুরা রোবট বানাচ্ছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
‘গ্রাম থেকে উঠে আসা শিশুরা রোবট বানাচ্ছে’ বক্তব্য রাখছেন মোস্তাফা জব্বার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মানুষকে সম্পদে রূপান্তর করা। আমাদের ছেলে-মেয়েদের সামান্য প্রশিক্ষণ দিলে তারা সম্পদ হতে পারে। মাত্র কয়েকদিনের প্রশিক্ষণে গ্রাম থেকে উঠে আসা শিশুরা অনায়াসে রোবট বানাতে পারছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা মাদারবোর্ড বানাতে পারে, তারা দেশেই কমপ্রেসর তৈরি করছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকায় আইডিইবি মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও আমাদের প্রস্তুতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার হাতিয়ারম ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণের লক্ষ্য বাস্তবায়নের অঙ্গীকার।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে তাকিয়ে নয়, বরং ২০১৬ সালে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণাটি প্রতিষ্ঠা লাভের বহু আগেই ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষিত হয়। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই কর্মসূচি সারাবিশ্বকে চমকে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ, সংকট এবং সম্ভাবনার সামগ্রিক চিত্র উঠে এসেছে উল্লেখ করে 
মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিল্প বিপ্লব ফোর পয়েন্ট জিরো নিয়ে কিছুটা সমালোচনা রয়েছে। অর্থাৎ, বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, শিল্প বিপ্লব ফোর পয়েন্ট জিরো যান্ত্রিক ও এই ধারণা থেকেই কেউ কেউ শিল্প বিপ্লব ফাইভ পয়েন্ট জিরোর ধারণা তুলে ধরছেন, যা মানবিক। তারা মনে করছেন ৫জি হচ্ছে শিল্প বিপ্লব ফোর পয়েন্ট জিরোর মহাসড়ক।

তিনি বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব হচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অথবা ডিজিটাল বাংলাদেশ কিংবা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য মহাসড়ক তৈরি করে দেওয়া। আমরা সভ্যতার রূপান্তরের যুগে বাস করছি। সভ্যতা রূপান্তরের দায়িত্ব পালনে কাজ করছি।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিটিসিএল, টেলিটকসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে  টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আইওটি, এআই, বিগডাটা, রোবটিক প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তত থাকার জন্য যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলিকম ও ডিজিটাল প্রযুক্তি গবেষক টিআইএম নুরুল কবির, আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদ, ফাইভার অ্যাট হোমের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার সুমন আহমেদ সাব্বির ও টেলিটকের ব্যবস্থাপক রেজাউল কবির।

বার্সেলোনায় ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসে মানুষকে বাদ দিয়ে প্রযুক্তির বিকাশ হতে পারে না, প্রযুক্তি মানুষের জন্য, মানুষ প্রযুক্তির জন্য নয় মর্মে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি তুলে ধরে নুরুল কবির মূল প্রবন্ধে বলেন, শিল্প বিপ্লব ফাইভ পয়েন্ট জিরো বিষয়ে জাপানসহ অন্যদের ধারণা একটি মানবিক শিল্প বিপ্লবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বিসিএসসিএলের এমডি মসিউর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
এমআইএইচ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।