শনিবার (২৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে বাকুর প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত আসে।
পরে আজারবাইজানে দায়িত্ব প্রাপ্ত ও তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধা ঘণ্টারও বেশি সময় সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই নেতা বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যেকার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত আজারবাইজান বাংলাদেশকে সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
১৯৯২ সালে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আজারবাইজানকে বাংলাদেশের সমর্থনের কথা স্মরণ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় পক্ষই আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ থেকে আজারবাইজানে মানবসম্পদ রপ্তানির বিষয়ে দুই নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
কৃষি সেক্টরে বাংলাদেশের অসাধারণ সফলতার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সফলতার ভূয়সী প্রশংসা করেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। একই সঙ্গে এত অল্প জায়গায় এত বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করায় বিষ্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ইলহাম আলিয়েভ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
এটি ছিল আজারবাইজান ও বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের প্রথম কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক । এই বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও আজারবাইজানের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে একটি চুক্তি সই হয়। এই চুক্তিটিও দুই দেশের মধ্যে প্রথম কোনো চুক্তি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এমইউএম/এসআইএস