হিন্দু পুরাণমতে, কালী দেবী দুর্গার একটি শক্তি। সংস্কৃতি ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি।
কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, তারা মা, আদ্য মা, ভদ্রকালী, চামুণ্ডি, দেবী মহামায়া নামেও পরিচিত।
কালীপূজার দিন হিন্দু গৃহস্থরা বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্বলন করে পরলোকগত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এর জন্য একে দীপাবলি উৎসবও বলা হয়।
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও বাড়িতে বা মণ্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা তৈরি করে পূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দেবীকে ছিন্নমস্তকসহ বলির পশুর রক্ত, মিষ্টান্ন, অন্ন বা লুচি উৎসর্গ করা হয়।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সবুজবাগ থানাধীন বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, রাধাগোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, রামসীতা মন্দিরসহ পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, বাংলাবাজার, ফরাশগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার মণ্ডপ ও মন্দিরে শ্যামাপূজার আয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশবাসীকে শ্যামাপূজা ও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছাবাণীতে তারা দেশ-জাতির মঙ্গল ও শান্তি কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
ডিএন/একে