নুসরাত হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার পর তিনি পালিয়ে যান।
গত ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কাউন্সিলর মাকসুদ আলমসহ ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, মাকসুদুল আলম নুসরাত হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১০ হাজার টাকা জোগান দেন। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডটিকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২০ মার্চ সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরের বছর নিজের কোনো সন্তান না পড়লেও রুহুল আমিন ও অধ্যক্ষ সিরাজের যোগসাজশে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য পদ দখল করেন নেন। এছাড়া আলু ব্যবসা থেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান তিনি!
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাঈনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ফৌজদারি আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত জনপ্রতিনিধিদের পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রধান (পৌরসভা বা ইউনিয়ন) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানালে তিনি নির্বাচন কমিশনে ওই পদটি শূন্য ঘোষণার সুপারিশ করেন।
সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমরা লিখিতভাবে বিষয়টি অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে সোনাগাজী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে একজন কাউন্সিলর দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে আমরা অবগত হয়েছি। রায়ের সাতদিনের মধ্যে ওই দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি উচ্চ আদালতে আপিল না করলে তার পদটি শূন্য ঘোষণার জন্য সুপারিশ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এসএইচডি/টিএ