সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন থেকে তিন সদস্যের একটি এবং বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
জেলা প্রশাসন থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- ডিডিএলজি আব্দুর রহমান আহ্বায়ক, পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মো. আশিক হাসান সদস্য ও পার্বতীপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শামীম আক্তার সদস্য।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ থেকে গঠিত অপর তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম-মাইন অপারেশন) মোহাম্মদ এস এম ইফতেখার আলম চৌধুরী আহ্বায়ক, ব্যবস্থাপক (প্রকৌশল) জাহিদুল ইসলাম সদস্য, ব্যবস্থাপক (ভাণ্ডার) আক্কাস আলী সদস্য ও ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মুন্সি আলাউল হক সদস্য। কমিটিকে তিন কারযদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে বিদ্যুতের সাবস্টেশনের ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি ভবনটি নির্মাণের জন্য সাব কন্ট্রাক্ট দেয় ফুলবাড়ী উপজেলার মেসার্স আমীন ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী রুহুল আমীন সরকারকে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) খনি কম্পাউন্ডের উত্তর-পূর্ব কোণে নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার ৭০ জন শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজে নিয়োজিত ছিল। ভবনের এক তৃতীয়াংশ ঢালাই হওয়ার পর পরই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আকষ্মিকভাবে এর পুরো অংশ ধসে পড়ে।
এসময় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রশান্ত রায় (১৭) ও আকাশ (৩৬) নামে দুই শ্রমিক মারা যায়। গুরুতর আহত হয় আরও ৭ শ্রমিক। পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট চার ঘণ্টা চেষ্টার পর ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে প্রশান্ত রায় ও আকাশের মরদেহ উদ্ধার করে।
পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
আরএ