চলতি বছরের জানুয়ারিতে গৃহকর্মীর প্রশিক্ষণ শেষ করেন সুমি। ৩০ মে ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’ এর মাধ্যমে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স (এসভি) ৮০৫ যোগে সৌদি যান।
দালালরা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে যে বিক্রি করে দিয়েছে সে কথা জানতেন না সুমি। সৌদি যাওয়ার সপ্তাহখানেক পর থেকে শুরু হয় তার ওপর মারধর, যৌন হয়রানিসহ নানা নির্যাতন।
সম্প্রতি ফেসবুকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া পাশবিক নির্যাতনের কথা বলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান সুমি। পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
ভিডিওটিতে সুমি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি আমার সন্তান ও পরিবারের কাছে ফিরতে চাই। আমাকে আমার পরিবারের কাছে নিয়ে যান। এখানে আমার ওপর অনেক নির্যাতন হয়। আর কিছুদিন থাকলে হয়তো মরেই যাবো। তাই প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ আপনারা আমাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যান। ’
এ নিয়ে রোববার (৩ নভেম্বর) বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশ হয় ‘সৌদি থেকে ফিরতে চান নির্যাতিতা সুমি’।
বাংলানিউজের সংবাদটি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি দ্রুতই সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাড়া দিয়েছেন। সংবাদটি রিয়াদে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মিশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাকে নিয়ে আসার জন্য।
সুমি আক্তার পঞ্চগড় জেলার বোদা সদর থানার রফিকুল ইসলামের মেয়ে। দুই বছর আগে আশুলিয়ার চারাবাগের নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ