পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় সুমি আক্তারকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সিরাজুল ইসলাম।
চলতি বছরের ৩০ মে সুমি ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’র মাধ্যমে সৌদি আরব যান।
সম্প্রতি ফেসবুকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া পাশবিক নির্যাতনের কথা বলে সুমি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান। পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে রোববার (০৩ নভেম্বর) বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশ হয় ‘সৌদি থেকে ফিরতে চান নির্যাতিতা সুমি’।
সংবাদটি দেখার পর সুমি আক্তারকে ফেরাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রীর এপিএস সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই সংবাদটি প্রকাশের পর রিয়াদে সুমির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে বলেছেন প্রতিমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট মিশনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাকে নিয়ে আসার জন্য।
তিনি আরো জানান, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় থেকে কর্মকর্তারা তার (সুমি) সঙ্গে কথা বলেছেন। সুমির সঙ্গে ওই কর্মকর্তাদের যে কথোপকথন হয়েছে, তা প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তাকে এখন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধার করে দূতাবাসের সেইফ হোমে তাকে নিয়ে আসা হবে। আর বৈধ কাগজপত্র থাকলে সরকারি খরচেই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
সুমির পরিবারকে এ নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
সুমি আক্তার পঞ্চগড় জেলার বোদা সদর থানার রফিকুল ইসলামের মেয়ে। দুই বছর আগে আশুলিয়ার চারাবাগের নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্ত্রী সেখানে বিপদে আছে। তাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। তার চোখে আঘাত করা হয়েছে, চোখে দেখতে পারছে না। এজন্য আমি থানায় মামলা করেছি এবং বিভিন্ন জায়গায় কাগজপত্র দিয়েছি। আমার একটাই দাবি আমার স্ত্রীকে বাংলাদেশে দেখতে চাই।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো, আমার স্ত্রীকে যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হয়; বলেন সুমির স্বামী নুরুল ইমলাম।
** বাংলানিউজের খবরে সুমিকে ফেরানোর নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস