প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (০৪ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার নীতিমালা-২০১৯’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, দক্ষ জনশক্তি একটি জাতির সামাজিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য খুবই অপরিহার্য। এ কারণে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রমবর্ধমান চাহিদার লক্ষ্যে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
প্রশিক্ষণার্থী, প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান, শিল্প দক্ষতা পরিষদ, অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, চর ও হাওর অঞ্চলের জনগোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, পথশিশু, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী, বস্তিবাসী, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া, চাকরিপ্রার্থী, বেকার বিদেশগামী কর্মী, বিদেশ প্রত্যাবর্তন কর্মী আলাদা আলাদা কর্মসূচিতে এই তহবিলের সুবিধা পাবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দক্ষতা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, কার্যক্রম ও গবেষণা সমীক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক অনুদান প্রদান করার ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের আবেদন যাচাই বাছাই পূর্বক নিষ্পত্তি করবে এবং জাতীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন তহবিল কোম্পানিকে প্রত্যাশী প্রতিষ্ঠানকে অনুদান প্রদানে অনুরোধ জানাবে।
অর্থ বিভাগ এরইমধ্যে জাতীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন তহবিল কোম্পানি গঠন করেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অর্থ বরাদ্দের জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠান বা কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ প্রদানকারীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া, অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর যোগ্যতা নির্ধারণ, প্রশিক্ষণার্থীকে উপবৃত্তি প্রদানের মানদণ্ড নির্ধারণ, দক্ষতা উন্নয়ন সম্পর্কিত কার্যক্রম গবেষণা সমীক্ষা ও উদ্ভাবন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং তহবিলের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াকরণ, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের বিষয়ে নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করার চলমান প্রক্রিয়া আরো বেগবান হবে এবং দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে এবং দক্ষ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকার সমস্যার নিরসন হবে। সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় একটি তহবিল অনুমোদন করেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই নীতির অনুসরণ করে অর্থ বরাদ্দ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হবে।
বর্তমানে ২৩টি মন্ত্রণালয় মানবসম্পদ উন্নয়নে তহবিল দিয়ে থাকে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটি কমন নীতিমালার মাধ্যমে তহবিল বরাদ্দ দিতে এই নীতিমালা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস