এ ঘটনায় সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বড়ভাই নুরুল হককে (৪২) গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। বর্তমানে নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মন বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (২ নভেম্বর) রাতে মহানগরীর শেখেরচক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাকে মারধর করছিলেন ছোটভাই আশরাফুল হক। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান বড়ভাই নুরুল হক। এরপর তার ওপরও চড়াও হন আশরাফুল। ছোটভাইয়ের হাতে যখম হওয়ার পর আত্মরক্ষায় পাশে থাকা লোহার রড দিয়ে আশরাফুলের মাথায় আঘাত করে নুরুল হকও। এতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তখন বড়ভাইই তাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে ছোটভাইয়ের মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি দুর্ঘটনাবশত ঘটলেও বর্তমানে আশারাফুলের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আনিকা হক (১৮) বাদী হয়ে চাচা নুরুল হককে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নুরুল হককে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এছড়া ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া হত্যা মামলায় নূরুল হককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/