ভবন ধসের ঘটনার প্রায় ৪৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওয়াজিদ স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ধসে পড়া ভবনের একটি দেয়ালের নিচে শিশুটি চাপা পড়েছিল। দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে থাকায় তাকে উদ্ধার করা বা তার সন্ধান পেতে দেরি হয়েছে।
আরও পড়ুন>>নিহত ওয়াজিদের পরিবারকে অনুদান, পাশে থাকবে প্রশাসন
স্থানীয়রা জানান, ভবনটি মূলত একটি ডোবার উপর নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানকার লোকজনও এ ব্যাপারে অনেকবার ভবন মালিককে নিষেধ করেছিলেন। ভবনটি কোনো সয়েল টেস্ট কিংবা রাজউকের অনুমতি ও পাইলিং ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছিল। ছিল না কোনো ফাউন্ডেশনও। ভবনটি তিনতলা পর্যন্ত করার পরও ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চারতলার ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়। আর এ লোড নিতে না পেরেই রোববার ধসে পড়ে ভবনটি।
গত রোববার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর মুন্সীবাড়ি এলাকার এইচএম ম্যানশন ভবনটি ধসে পড়ে। সে সময় একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। তখন থেকেই শিশু ওয়াজিত নিখোঁজ ছিলো। তবে ঘটনার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম ওয়াজিদকে উদ্ধারে কাজ করে। তাদের সঙ্গে উদ্ধার কাজে স্থানীয়রাও অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
জেডএস