মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল থেকে দেওয়া এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সুমি আক্তার বর্তমানে নাজরান পুলিশের তত্ত্বাবধানে নাজরান শহরের একটি সেইফ হোমে অবস্থান করছেন।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, ২২ হাজার সৌদি রিয়াল কফিলকে দিলে তার কাছ থেকে ফাইনাল এক্সিট গ্রহণ করা যাবে। এরপরই টিকিট কেটে সুমিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যাবে। এসব ব্যয় রূপসী বাংলা ওভারসিজকেই বহন করতে হবে।
গত ৩০ মে সুমি ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’র মাধ্যমে সৌদি আরব যান। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই স্বজনদের কাছে তার ওপর নির্যাতনের ঘটনা বলতেন সুমি। দালালরা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তাকে যে বিক্রি করে দিয়েছে সে কথা জানতেন না সুমি। সৌদি যাওয়ার সপ্তাহখানেক পর থেকে শুরু হয় তার ওপর মারধর, যৌন হয়রানিসহ নানা নির্যাতন।
সম্প্রতি ফেসবুকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজের ওপর পাশবিক নির্যাতনের কথা বলে সুমি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান। পরে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে রোববার (৩ নভেম্বর) বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশ হয় ‘সৌদি থেকে ফিরতে চান নির্যাতিতা সুমি’।
সংবাদটি দেখার পর সুমি আক্তারকে ফেরাতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। পরে সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় থেকে কর্মকর্তারা তার (সুমি) সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই সুমি আক্তারকে তার কর্মস্থল থেকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিয়েছে সেখানকার পুলিশ।
সুমি আক্তার পঞ্চগড় জেলার বোদা সদর থানার রফিকুল ইসলামের মেয়ে। দুই বছর আগে আশুলিয়ার চারাবাগের নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
সুমির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্ত্রীকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। তার চোখে আঘাত করা হয়েছে, চোখে দেখতে পারছে না। এজন্য আমি থানায় মামলা করেছি এবং বিভিন্ন জায়গায় কাগজপত্র দিয়েছি। আমার একটাই দাবি আমার স্ত্রীকে বাংলাদেশে দেখতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এমআইএস/এসএ