বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমপিং।
নিজ বক্তব্যে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে লি জিমপিং বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে নিবিড় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এখানকার মানবসম্পদের প্রশিক্ষণের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে চীন। এছাড়াও প্রতি বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য চীন সরকার বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৩-১৮ সালের মধ্যে প্রায় দুই হাজার ২৭৮ জন সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবী চীন সরকারের আওতায় চীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এবছর ১৬টি কার্যক্রমে এ সংখ্যা তিন শতাধিক।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়ও আমাদের এ ধরনের সাহায্য অব্যাহত থাকবে।
যুগ্ম-সচিব মতিউর রহমান বলেন, ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশে ও এবছরের জুলাইতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর করেন। এর থেকে দু’দেশের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নজির দেখা যায়। চীন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ট্রেনিং পার্টনার। একই সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নেও চীন আমাদের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী বন্ধু। আমি আশা করি এ ধরনের প্রশিক্ষণ প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে কর্মদক্ষতা বাড়িয়েছে। ফলে তাদের সংস্থাগুলো মূলত উপকৃত হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/এএ