ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অবৈধ ১১ হাজার বিদেশিকে নিজখরচে ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
অবৈধ ১১ হাজার বিদেশিকে নিজখরচে ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ  ব্রিফ করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

ঢাকা: ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে অবস্থান করা বিদেশিদের নিজখরচে তাদের দেশে ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
 
কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন-শৃঙ্খলা বহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।


 
মোজাম্মেল হক বলেন, অনেক বিদেশি নাগরিক এদেশে পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে আসেন এবং পরবর্তীতে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও অনেকেই যান না, থেকে যান। তারা যাতে থাকতে না পারে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল তাদের চিহ্নিত করা। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা সফলতার সঙ্গে সেগুলো চিহ্নিত করেছে।
 
‘এখন সমস্যা দেখা গেছে যে ওদের কাছে টাকাও নেই। ওদের দেশের অ্যাম্বাসিও নেই। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরকারের কাছে কিছু টাকা বরাদ্দ করার জন্য যাতে ওই সমস্ত অবৈধ বসবাসকারী লোকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া যায়। আমরা চিন্তা করেছি আমাদের সরকারি পয়সা দিয়েই তাদের ফেরত পাঠাই…। ’
 
প্রায় ১১ হাজারের মতো বিদেশি নাগরিকের মধ্যে আফ্রিকার দেশের বেশি জানিয়ে মোজাম্মেল হক জানান, নাইজেরিয়া, তানজেনিয়া এসব দেশের নাগরিক তারা।
 
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা অবৈধভাবে করেছেন কিংবা কোনো ক্রাইমে জড়িত হয়েছেন তারাই আমাদের নজরে আছেন। জেলখানায় তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, দূতাবাসে যোগাযোগ করার পরও তাদের নিয়ে যাচ্ছে না। অবৈধভাবে যারা আছে তারা ক্রাইমে জড়িত হচ্ছে। শুধু যে ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত বা কারাগারে আছে তা নয়, যারা ব্যবসা করতে আসেন তাদের সবার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে- সেই রকম সংখ্যাও রয়েছে। এসব সংখ্যা মিলে প্রায় ১১ হাজারের মতো।  
 
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, অনেক রোহিঙ্গা অতীতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গেছে। আগের মিটিংয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাতে পাসপোর্ট না হয়। সফলতার সঙ্গে আমরা কাজটা করতে পেরেছি, এখন থেকে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার মতো কোনো অবস্থা নেই। সেজন্য আমাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিসহ সবকিছু কম্পিউটারাইজড হয়েছে সেজন্য সেই সুযোগ আর নেই।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।