লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
লন্ডনে বুধবার (৬ নভেম্বর) ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী উদ্যোগ’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকারের যথার্থ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে আজ সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান সুনিশ্চিত হয়েছে।
আলোচনায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ঘোলা পানির মধ্যে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সত্যিকারের আলেম-ওলামাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বড় শক্তি মনে করেন। তার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সব ধর্মের মানুষ যাতে পূর্ণ স্বাধীনতার মাধ্যমে যার যার ধর্ম পালন করতে পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। সব ধর্মের মানুষকেই সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আর এটাই হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। কিন্তু এখনও কেউ কেউ ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টির অপব্যাখ্যা করছেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে, সেই আদর্শ সমুন্নত করতে বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্যে কাজ করছে। আজকের এই অনুষ্ঠান তারই ধারাবহিকতার একটি অংশ।
তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের এই ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার জন্য বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের প্রতিনিধিত্বকারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর নেতাদের বিশেষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবিএম আব্দুল্লাহ নূরী পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
আলোচনায় লন্ডন ও বার্মিংহামসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের মসজিদের বাংলাদেশি-ব্রিটিশ ইমাম ও মাওলানা এবং ব্রিকলেন জামে মসজিদ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্দ-খ্রিস্টান ইউনিটি, সেকুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট, বাংলাদেশ খ্রিস্টান কমিউনিটি, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট কমিউনিটি, ইউনাইটেড হিন্দু কালচার অ্যাসোসিয়েশন, ওম শান্তি অ্যাসোসিয়েশন, সার্বজনীন বাবা লোকনাথ অ্যাসোসিয়েশন, ব্রিকলেন ফিউনারেল সার্ভিস এবং হজ সংক্রান্ত ট্রাভেল এজেন্টের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এসময় তারা হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমকে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের জন্য প্রথমবারের মতো এরকম সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শরীফ এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
টিআর/এসএ