রাসেল মহানগরীর শিরোইল বাস্তুহারা পাড়া এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এছাড়া তিনি মহানগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম রফিক বাংলানিউজকে রাসেলের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানতে চাইলে রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার পর ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় রাসেলকে। পরে জরুরি অস্ত্রোপচারের উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ঘটনার পরপরই রাব্বি নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের পাশ থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করেছে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।
এর আগে বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের পাশে মহানগরীর শিরোইল কলোনি এলাকায় বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের (পূর্ব) সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজা ও মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলীর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হন। এর মধ্যে ছুরিকাঘাতে আহত রাজা, রাসেল ও শিরোইল এলাকার রবিউলের ছেলে সোনাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, রেলভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্রে বুধবার আওয়ামী লীগের রাজা ও মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রুপ।
পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম সংলগ্ন ভাঙারির দোকানের সামনে থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করে। অন্যদিকে পুলিশ যাওয়ার আগেই ছুরিকাঘাতে আহত রাজা, রাসেল ও সোনাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। সেখানেই সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাব্বি নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
রাতেই থানায় হত্যামামলা দায়ের হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯/আপডেট: ০২৪৫ ঘণ্টা
এসএস/এইচজে/জেডএস