এজন্য সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে মঙ্গলবারও (১৯ নভেম্বর) কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ সব রুটের বাস চলাচলও।
তবে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও দুই একটি বিআরটিসি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, ভ্যানসহ তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছেন তারা।
বাসচালক মিলন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, নতুন সড়ক আইন সংশোধন না হলে আমরা বাস চালাবো না। আইনে চালকদের এক তরফাভাবে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। যে দণ্ড ও পরিমাণ জরিমানার বিধান করা হয়েছে, সেগুলো চালকদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না। যেকোনো দুর্ঘটনাই কারও ইচ্ছাকৃত নয়।
সাতক্ষীরা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নতুন সড়ক আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কোনো শ্রমিক বাস চালাতে রাজি না। তবে জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু বাংলানিউজকে বলেন, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এক তরফাভাবে বাসচালক ও শ্রমিকদের কঠোর শাস্তির বিধান করা হয়েছে নতুন সড়ক আইনে। দুর্ঘটনা কারও ইচ্ছাকৃত ও একা হয় না তবুও সব শাস্তি বাসচালক ও শ্রমিকদের। আর তাই নতুন সড়ক আইন পরিবর্তন করার দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এসআরএস